Home » » পেপাল এর ইতিহাস

পেপাল এর ইতিহাস

পেপাল বাংলাদেশ ও পিটার
বর্তমান প্রজন্মকে বলা হয় ডিজিটাল প্রজন্ম। এ প্রজন্মই বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে অনলাইন জগতের মাধ্যমে।  পড়াশোনা থেকে শুরু করে ব্যাংকিং খাত পর্যন্ত ঘরে বসেই ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কেউ করতে পারছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদানের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির নাম পেপাল। পেপালের প্রতিষ্ঠাতার নাম পিটার থিয়েল।


পেপাল ই-কর্মাসকে  একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই পিটার থিয়েলকে অনলাইন জগতের ব্যবসায়ীরা ধন্যবাদ জানাতেই পারেন। পিটার থিয়েলের আরেক পরিচয় হচ্ছে তিনি ফেইসবুকের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। শুরুতে মার্ক জুকারবার্ক যখন ফেসবুক নিয়ে অর্থ-সংকটে ছিলেন তখন পিটার তাঁর পাশে দাঁড়ান। অবশ্য ফেসবুকের আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে পেপাল।


পিটার ১৯৬৭ সালে জার্মানিতে জন্ম নিলেও বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। স্কুলপড়ুয়া পিটার ছিলেন একজন তুখোড় দাবাড়ু। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনূর্ধ্ব ২১ প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেন।


স্কুলের পাঠ চুকিয়ে পৃথিবীর অন্যতম সেরা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন তিনি। এ সময় নিজ সম্পাদনায় ‘দ্য স্ট্যানফোর্ড রিভিউ’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন। পত্রিকাটি এখনো নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে। ১৯৮৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৯২ সালে স্ট্যানফোর্ড ল স্কুল থেকে তিনি ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর চার বছর আইন পেশায় থাকার পর ‘থিয়েল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরে এর নাম পাল্টে রাখা হয় কনফিনিটি। আরও একবার নাম বদলে কনফিনিটি হয়ে যায় ‘পেপাল’।


ব্যবসার পরিধি বাড়াতে একসময় তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ম্যাঙ্ ল্যাভচিন এবং লুক নোসেক। কোনো ব্যক্তি চেক কিংবা ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই একটি পিন নম্বর দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন; এমনই ছিল পেপালের ধারণা। ব্যাংক আর ক্রেডিট কার্ড প্রতিষ্ঠানগুলোও পেপালের আইডিয়াকে স্বাগত জানায়। ২০০১ সাল পূর্ণোদ্যমে যাত্রা শুরু করে পেপাল।


পিটার থিয়েল পেপালের প্রথম সিইও ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফেইবুকের পরিচালক পর্ষদের অন্যতম সদস্য। পিটার থিয়েল অসংখ্য ব্যবসায়ে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। এমনকি সম্প্রতি তিনি একটি চলচ্চিত্রের প্রযোজকের দায়িত্বে আছেন।
এক সাক্ষাৎকারে পিটার বলেন, পৃথিবীতে তিনটি জিনিস খুবই জরুরি।  সেগুলো হলো প্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং ই-কমার্স। আমি পৃথিবীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ তিনটি বিষয়েই অবদান রাখতে পেরেছি বলে নিজেকে খুব ধন্য মনে করি।
Jika Anda menyukai Artikel di blog ini, Silahkan klik disini untuk berlangganan gratis via email, dengan begitu Anda akan mendapat kiriman artikel setiap ada artikel yang terbit di Creating Website

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ভার্চুয়াল দুনিয়া - All Rights Reserved
Template Modify by Creating Website
Proudly powered by Blogger